হিফজ ও নাজেরা বিভাগ
জামিয়া মাহমুদিয়া হামিদনগর বাহুবল হবিগঞ্জ এর হিফজ বিভাগে
আপনাকে স্বাগতম
সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান
শিক্ষাবর্ষ ১৪৪৫-৪৬ হি./ ২০২৪-২৫ ঈ.
♦ মোট শিক্ষক: ১২ জন
♦ ট্রেনিংপ্রাপ্ত শিক্ষক সংখ্যা : ১২ জন। (সকলেই)
♦ মোট ছাত্রসংখ্যা: ২৭৫ জন।
♦ ভর্তির আবেদনকারী ছাত্রসংখ্যা: ৩৫০ জন।
♦ এ বছর হিফজ সমাপনকারী ছাত্রসংখ্যা: ৪২ জন
♦ বিগত বছর হাফেজ হয়েছেন: ৩৬ জন
♦ এতিম-অসহায় ছাত্রসংখ্যা: ১০০ জন
♦ বোর্ডিংয়ে খাবার গ্রহণকারী ছাত্রসংখ্যা: ১৮০ জন।
◊ দুটি কথা:
‘আল কুরআনুল কারীম’ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ঐশী গ্রন্থ। স্রষ্টার পক্ষ থেকে সৃষ্টির প্রতি হেদায়েতের বার্তা। যাতে রয়েছে বিশ্ব মানবতার শান্তি ও মুক্তির বাণী, রয়েছে উভয় জাহানে সফলতার ইলাহী দিক-নির্দেশনা।
কুরআনুল কারীম এমন এক গ্রন্থ যাতে ভুল-ভ্রান্তি বা সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। এটি একমাত্র কিতাব যা না বুঝে পড়লেও প্রতি অক্ষরে দশটি করে নেকি লেখা হয়। এমন একটি ঐশী গ্রন্থের আদ্যোপান্ত হিফজ করা যে মহা সৌভাগ্যের বিষয় তা মুসলিম মাত্রই জানার কথা।
◊ আমাদের প্রয়াস
সে সৌভাগ্যের অংশীদার হতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হিফজুল কুরআন বিভাগ। সে ধারাবাহিকতায় আমাদের জামিয়া মাহমুদিয়া হামিদনগর এ সূচনালগ্ন থেকেই রয়েছে অত্যাধুনিক মানসম্মত একটি আদর্শ হিফজ বিভাগ।
হবিগঞ্জ তথা সিলেটের শীর্ষস্থানীয় এই হিফজ বিভাগে বর্তমানে ১২ জন ট্রেনিংপ্রাপ্ত, অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলীর তত্ত্বাবধানে ২৭৫ জন শিক্ষার্থী কোরআন হিফজ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। জামিয়ার একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থতলা জোরে রয়েছে হিফজ বিভাগের মনমুগ্ধকর ক্লাসরুম।
◊ হিফজ বিভাগের অতীত বর্তমান
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের হিফজ বিভাগ সূচনা লগ্ন থেকেই আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে সফলতার স্বাক্ষর রেখে আসছে। হবিগঞ্জ জেলা তথা সিলেটের সর্বত্রই আমাদের এই বিভাগের রয়েছে বিশেষ সুনাম ও অসাধারণ গ্রহণযোগ্যতা। জাতীয় বোর্ডগুলোর ফলাফল ও জাতীয় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এ বিভাগের ছাত্রদের সাফল্যের হার সিলেটে সেরা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের বড় বড় মাশায়েখগণের খন্ডকালীন অধ্যাপনা ও দিকনির্দেশনায় সমৃদ্ধ এই হিফজ বিভাগের সুখ্যাতির বিষয়ে হিফজুল কোরআনের সাথে সম্পৃক্ত যেকোনো ব্যক্তিই অবগত আছেন।
◊ হুফফাজুল কুরআন বোর্ড বাংলাদেশ ও এ জামিয়া
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও সর্বাদিক পরিচিত হিফজ বোর্ড ‘হুফফাজুল কুরআন বোর্ড বাংলাদেশ’ বৃহত্তর সিলেটে প্রসারিত হওয়ার পেছনে এ জামিয়ার অবদান অসামান্য। বোর্ডের সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা উস্তাদুল হুফফাজ হাফেজ ক্বারী মাওলানা আব্দুল হক্ব দা. বা. ২০০৬ সালে সর্বপ্রথম এই জামিয়া থেকেই সিলেট বিভাগের যাবতীয় কার্যক্রম শুরু করেন। প্রথম দিকে এখানেই সকল জাতীয় পরীক্ষা ও জাতীয়-আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতো। পরবর্তীতে কার্যক্রম ব্যাপক আকার ধারণ করায় এর বিভাগীয় শাখা সিলেট শহরে স্থানান্তরিত করা হয়। সে সুবাদে এখানের সাথে হযরতের সম্পর্ক অকৃত্রিম ও সুগভীর। মৌলিক অর্থে হযরতের সুপরামর্শেই এই জামিয়ার হিফজ বিভাগ পরিচালিত হয়। তিনি যখনই সুযোগ পান এখানে আসেন ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা ও মশ্বক প্রদান করেন।
◊ আমাদের কিছু বৈশিষ্ট্য
1. সার্বক্ষণিক বিশেষ নেগরানি।
2. নির্ধারিত সময় ছাড়া অন্যান্য সময়ে গেট লক সার্ভিস।
3. উন্নত পাঠদান পদ্ধতি।
4. মানসম্মত আবাসন ব্যবস্থা।
5. আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ।
6. মানসম্মত মশক্ব প্রদানের ব্যবস্থা।
7. স্মার্ট টিভির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান হাফেজদের মাধ্যমে মশক করানো।
8. অন্যান্য।
◊ স্পন্সর ব্যবস্থা
মহান আল্লাহর অনুগ্রহে তার নির্বাচিত কিছু বান্দা হিফজুল কুরআনের অসহায়, এতিম ও গরীব কতিপয় ছাত্রের মাসিক ও বার্ষিক স্পন্সর করে যাচ্ছেন। যাদের অধিকাংশই ইউ.কের বাসিন্দা। আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে উত্তম বিনিময় দান করুন। যেকেউ চাইলে এই মুবারক কাজে শামিল হতে পারেন। বার্ষিক ও মাসিক, উভয় পন্থায়ই স্পন্সরশীপের ব্যবস্থা আছে।
◊ বিশেষ আবেদন
সম্মানিত দ্বীনদরদী ভাই-বোনেরা,
আমাদের আবাসন ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না হওয়ায় প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণ ছাত্র ফিরিয়ে দিতে হয়। পাশাপাশি সার্বিক বাজর-সদাইসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বহুগুনে বেড়ে যাওয়ায় বোর্ডিং পরিচালনাসহ এতিম ও অসহায় ছাত্রদের খরচ বহন যথেষ্ট কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় হৃদয়বান দ্বীনদরদী ভাই-বোনদের খেদমতে আকুল আরজ, আপনাদের একনিষ্ঠ দোয়ায় আমাদের শরীক রাখবেন। এবং আপনাদের যাকাত,সদকা, ফিতরা ও স্বেচ্ছা প্রদত্ত দানের মাধ্যমে এই মোবারক সফরে আমাদের সঙ্গী হবেন ইনশাআল্লাহ।
যোগাযোগ: 01894 419 717, 01894 419718